ভয়ংকর যুদ্ধ বিমান "পাকিস্তানের আকাশে " ! পৃথিবীর আর কোনো দেশে নেই ! দেখুন বিমানটির কতটা ভয়ংকর

এই মাত্র পাওয়াঃ- চীন সীমান্তে হঠাৎ ব্যাপক সৈন্য মোতায়েন ভারতের ! বিস্তারিত দেখুন... # চীন সীমান্তে হঠাৎ ব্যাপক সৈন্য মোতায়েন ভারতের..... হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠল চীন-ভারত সীমান্ত। দোকলাম সঙ্কটের পর কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছিল। কিন্তু নতুন ঘটনায় মনে হচ্ছে, বড় ধরনের কিছু ঘটতে যাচ্ছে। ভারতীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়, একদিকে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি অরুণাচল প্রদেশের কিবিতুর উল্টা দিকেই আর্মি ক্যাম্প, টেলিকম টাওয়ার এবং শিবির তৈরি করছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর তারপরই অরুণাচল প্রদেশ লাগোয়া গোটা চীন ও তিব্বত সীমান্তের-সংলগ্ন আউটপোস্টে ব্যাপক সেনা মোতায়েন করতে শুরু করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। একইভাবে ভারত মহাসাগরে নৌবাহিনীর টহলদারি বাড়িয়ে নতুন করে আরো যুদ্ধজাহাজের সক্রিয়তা দেখা গেছে। খবরে বলা হয়, অরুণাচল প্রদেশের দিবাং, দাউ দে লাই, লোহিত উপত্যকায় ভারত বেশি করে সেনা মোতায়েন করছে। এবং গত কয়েক দিনে সেনাবাহিনীর ফরওয়ার্ড মুভমেন্টও হয়েছে। এই সীমান্তবর্তী এলাকার পাহাড়ি উপত্যকা ও চড়াই-উতরাই স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত ও চীনের মধ্যে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের প্রধান কারণ। সবচেয়ে বেশি সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে কিবিতু এলাকায়। অরুণাচল প্রদেশের চীন সীমান্তে এই গ্রামটি শেষতম স্ট্র্যাটেজিক ক্যাম্প ভারতের। আর এই কিবিতুর উল্টা দিকেই চীনের লালফৌজ সাম্প্রতিককালে শক্তি প্রদর্শন করেছে লাগাতার। দোকালাম বিতর্কের পর আবার নতুন করে দুই দেশের সম্পর্ক অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে তিক্ততার দিকে যেতে চলেছে কি না, তার জল্পনা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, দোকালাম বিতর্কের পর ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের আবার উন্নতি হয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। অন্তত চারটি প্রতিনিধি দল দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছে। ভারত সরকার সম্প্রতি সবচেয়ে বিতর্কিত একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আপাতভাবে চীনকেই সন্তুষ্ট করতে। সেটি হলো বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা দালাই লামার কোনো অনুষ্ঠানে সরকারের কোনো মন্ত্রী যেন অংশগ্রহণ না করেন। এবং সরকারিভাবেও কোনো মন্ত্রণালয় দালাই লামকে প্রধান করে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন না করেন। এই বছর ভারতের প্রতি দালাই লামা তথা তিব্বতবাসী কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের লক্ষ্যে বিশেষ থ্যাঙ্ক ইউ ইন্ডিয়া কর্মসূচির আয়োজন করেছে বছরজুড়ে। তার মধ্যেই ভারতের দালাই লামা নীতির কী সম্পূর্ণ বদলে যাচ্ছে? এই প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এরপর আবার ভারত জানিয়ে দিয়েছে দালাই লামা নিয়ে ভারতের অবস্থান যেমন ছিল তেমনই আছে। এমনকী শনিবার ধর্মশালায় একটি অনুষ্ঠানে স্বয়ং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতারা ছিলেন দালা‌ই লামার সঙ্গে একই মঞ্চে। সুতরাং দালাই লামা নিয়ে নিজের অবস্থান থেকে সম্পূর্ণ ফের ঘুরছে ভারত। যা চীনকে মোটেই খুশি করবে না। ভারতীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়, এদিকে এই আবহে অরুণাচল প্রদেশের নিকটে চীন ভারত সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এই মাসের শুরুতেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন নতুন নতুন সীমান্ত এলাকায় চীন পরিকাঠামো নির্মাণে জোর দিচ্ছে। হেলিপ্যাড, সেন্ট্রি পোস্ট এবং ট্রেঞ্চ গঠন করা হচ্ছে। বস্তুত দোকালাম নিয়ে ৭২ দিনের টানটান উত্তেজনা আর বিতর্ক সমাপ্ত হলেও মুখে কোনো শিবির স্বীকার করছে না যে আদতে কেউই নিজেদের সেনাকে পিছনে সরিয়ে আনেনি। দোকালাম বিতর্ক শুরুর আগে যে অবস্থা ছিল, এখনও সেই একই সতর্কতা এবং প্রবল টেনশনের পরিস্থিতি রয়েছে। তার ম঩ধ্যেই তিব্বত সীমান্তের বিভিন্ন অঞ্চলে চীনের সক্রিয়তা উদ্বেগ বাড়ানোর পর ভারতও পাল্টা সেনা মোতায়েন শুরু করেছে। ০১ এপ্রিল ২০১৮