এই ৫টি দেশ দখল করা সম্ভব নয় | 5 Countries That Are Impossible To Invade in Bangla

যেকোনো মূল্যে পাকিস্তান নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে ! তুরস্ককে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে বলল আমেরিকা ! # যেকোনো মূল্যে পাকিস্তান নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে........ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহীদ খাকান আব্বসি বলেছেন, তার দেশ নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যেকোনো পথ বেছে নিতে দ্বিধা করবে না। দুই প্রতিবেশী দেশ বিশেষ করে ভারতের পক্ষ থেকে মারাত্মক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা প্রসঙ্গে তিনি একথা বলেছেন। সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠানরত ৪৮তম বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের অবকাশে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী ‘প্রাতঃরাশ’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী আব্বাসি। দর্শক-শ্রোতাদের পক্ষ থেকে আসা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যদি আপনি হুমকির মুখে পড়েন তখন আপনার সার্বভৌমত্ব রক্ষার চেয়ে বড় কোনো কাজ আর নেই।” পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা পিপিপি’র চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টোও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক লজ্জাজনক টুইটার বার্তাও বিশ্বকে স্মরণ করিয়ে দেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ট্রাম্পের ওই বার্তায় সরেজমিনের বাস্তবতা প্রতিফলিত হয় নি। পরমাণু অস্ত্র সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ আগে পরমাণু অস্ত্রের প্রতিযোগিতা শুরু করে নি এবং পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র শুধুমাত্র প্রতিরক্ষার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। ভারতের আগ্রাসী আচরণ মোকাবেলার ক্ষেত্রে পাকিস্তান কী করবে- এমন প্রশ্নের জবাবে শাহীদ খাকান আব্বাসি বলেন, ভারত সম্প্রতি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যার মোকাবেলা করেছে পাকিস্তান। তিনি বলেন, জাতিসংঘ প্রস্তাব অনুসারে কাশ্মির সমস্যার সমাধানের মধ্যেই ভারতের সঙ্গে চলমান সমস্যার সমাধান রয়েছে। তিনি আবারো বলেন, যদি আপনার সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়ে তখন আপনার উচিত হবে তা রক্ষার জন্য সব রকমের চেষ্টা করা। # তুরস্ককে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে বলল আমেরিকা........ সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় আফরিন প্রদেশে কুর্দি গেরিলাদের বিরুদ্ধে চলমান সামরিক অভিযান বন্ধ করতে তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের প্রধান মুখপাত্র ডানা হোয়াইট গতকাল (বৃহস্পতিবার) সাংবাদিকদের বলেছেন, “তুরস্ক হচ্ছে আমাদের মিত্র দেশ কিন্তু চলমান ইস্যুটি বিব্রতকর এবং দায়েশ সন্ত্রাসীদেরকে যারা পরাজিত করেছে আমরা তাদের প্রতি সমর্থন দিচ্ছি।” ন্যাটোর একমাত্র মুসলিম সদস্য তুরস্ক গত সপ্তাহে সিরিয়ার কুর্দি গেরিলা পিপল’সপ্রোটেকশন ইউনিট বা ওয়াইপিজি’র বিরুদ্ধে ‘অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চ’ নামে একটি সামরিক অভিযান শুরু করেছে। আংকারা এ গেরিলা গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী মনে করে এবং তুরস্কের কুর্দি গেরিলা সংগঠন পিকেকে’র সঙ্গে এর সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে। কিন্তু আমেরিকা দাবি করছে, সিরিয়ায় উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ওয়াইপিজি অত্যন্ত কার্যকর শক্তি এবং কুর্দি গেরিলাদেরকে আমেরিকা অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে। যখন আমেরিকার বিরুদ্ধে দায়েশ সৃষ্টি ও তাদেরকে অস্ত্র এবং প্রশিক্ষণ দেয়ার প্রচুর তথ্য-প্রমাণ রয়েছে তখন পেন্টাগনের মুখপাত্র এমন কথা বললেন। গতকালের সংবাদ সম্মেলনে ডানা হোয়াইটের পাশাপাশি মার্কিন জয়েন্ট স্টাফের পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি বলেন, “আমরা সতর্কতার সঙ্গে ওয়াইপিজি-কে অস্ত্র দিয়েছি যাতে এসব অস্ত্র ভুল জায়গায় না যায় এবং বিষয়টি নিয়ে আমরা তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি।” তিনি আরো বলেন, “তুরস্কের যে উদ্বেগ সেটা যৌক্তিক কিন্তু আমরা চাইছি সিরিয়ার যে এলাকা দায়েশ মুক্ত হয়েছে তা ওয়াইপিজি’র নিয়ন্ত্রণে থাকুক। # সমর্থন বন্ধ করুন নাহলে সংঘাতের জন্য প্রস্তুত হোন: আমেরিকাকে তুরস্ক........ তুরস্কের সরকার আমেরিকার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, “সিরিয়ার কুর্দি গেরিলা পিপল’স প্রোটেকশন ইউনিট বা ওয়াইপিজি’র প্রতি সমর্থন বন্ধ করুন তা নাহলে সিরিয়ার মাটিতে তুর্কি সেনাদের সঙ্গে সংঘাতের জন্য প্রস্তুত হোন।” বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে। তুরস্কের উপ প্রধানমন্ত্রী বাকির বোজদাগ গতকাল (বৃহস্পতিবার) বলেন, “যারা সন্ত্রাসী সংগঠনকে সমর্থন করবে তারা এই অভিযানে তুর্কি সেনাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।” বাকির বোজদাগ আরো বলেন, “আমেরিকার উচিত তাদের সেনাদের বিষয়ে নতুন করে পর্যালোচনা করা এবং তুরস্কের সঙ্গে সংঘাত এড়াতে সন্ত্রাসীদের প্রতি সমর্থন বন্ধ করা। গত বুধবার এক টেলিফোন সংলাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানকে সতর্ক করে বলেছেন, সিরিয়া অভিযানে দু দেশের মধ্যে সংঘাতের ঝুঁকি তৈরি করে এমন সব রকমের পদক্ষেপ এড়িয়ে চলুন। এর একদিন পর তুর্কি উপ প্রধানমন্ত্রী আমেরিকাকে সতর্ক করলেন। টেলিফোন সংলাপে ট্রাম্পকে এরদোগান বলেছিলেন, তুর্কি সেনারা সন্ত্রাসী সংগঠন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এবং নিজের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করার জন্য সিরিয়ায় অভিযান চালাচ্ছে। # ফিলিস্তিনের পিঠে ছুরি মেরেছেন ট্রাম্প: রাষ্ট্রদূত....... আমেরিকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত হুসাম জোলমোত বলেছেন, পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস শহরকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনের পিঠে চুরি মেরেছেন। একইসঙ্গে ইসরাইল-ফিলিস্তিনের দ্বন্দ্ব নিরসনের বিষয়ে ট্রাম্প নিজের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন। ওয়াশিংটনের ‘মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউশন’ এ দেয়া বক্তৃতায় হুসাম জোলমোত আরো বলেন, “৬ ডিসেম্বর ট্রাম্পের দেয়া ঘোষণায় সবাই অবাক হয়েছেন এবং ‘নায্য মধ্যস্থতাকারী’ হবেন এবং দুপক্ষের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি করতে সাহায্য করবেন বলে ট্রাম্প যে ওয়াদা দিয়েছিলেন তা তিনি নিজেই হত্যা করেছেন। ২০১৮-০১-২৬