বিশ্বের উন্নত জাতের গরু মোটাতাজাকরণ করে হাতির মত বানানো হয়েছে মোহাম্মাদপুরে, Cow Fattening Project,

বিপন্নপ্রায় গয়াল বা বনগরু ধরে অবৈধভাবে বিক্রি করছে একটি চক্র। উপঢৌকন হিসেবে ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে এসব গরু। এর মাংস ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে এ প্রাণীটিকে রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এজন্য সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছেন তারা। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় একসময় ব্যাপক বিচরণ ছিল গয়াল বা বন গরুর। নানা কৌশলে একটি চক্র শক্তিশালী এ প্রাণীকে বশ করে অবৈধভাবে বিক্রি করায় এর সংখ্যা একেবারে কমে গেছে। পছন্দের খাবার- লবণ পানির টোপ দিয়ে পাহাড়ি বন থেকে এই গরু ধরে চক্রটি। এরপর পোষা গরুর মতো বেঁধে রেখে কয়েকমাস পালন করে বশে আনে। আলীকদমসহ পার্বত্য এলাকা থেকে কিনে এ গরুকে উপঢৌকন হিসেবে পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে বিরল এ প্রাণীর মাংস। বিরাট আকৃতির এ গরুকে স্থানীয়রা বনগরু নামে ডাকলেও ইংরেজিতে এর নাম গাওর। এর বৈজ্ঞানিক নাম বস গাওরোস। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে এ প্রজাতি সংরক্ষিত। আছে আইইউসিএন এর মহাবিপন্ন প্রাণীর তালিকায়ও। বনের ইকো সিস্টেম টিকিয়ে রাখতে এ প্রাণীকেও টিকিয়ে রাখা জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর জন্য মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির কথাও বলছেন তারা। এ জাতের বনগরুর কাঁধের উঁচু মাংসপি- পিঠের মাঝ পর্যন্ত লম্বা থাকে। এরা ১৫ থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত বাঁচে। পূর্ণ বয়স্ক হলে প্রতিটি গরুর ওজন হয় ২০ মণ পর্যন্ত।