২০০১ বাংলাদেশ ও ভারত রক্তক্ষয়ী সীমান্ত যুদ্ধে ভারতের ১৬জন বর্ডার গার্ড নিহত হয়

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্র“য়ারি রাজধানীর বিডিআর সদর দপ্তরে ঘটে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। বিপথগামী জওয়ানরা হত্যা করে তৎকালীন বিডিআরে কর্মরত ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে। এ’ঘটনায় মোট নিহত হয় ৭৪ জন। ২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্র“য়ারি। পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে চলছিল তিন দিনব্যাপী রাইফেলস সপ্তাহের অনুষ্ঠান। তবে, দিনের শুরুতেই পিলখানা থেকে ভারি অস্ত্র আর বুলেটের গর্জন ভেসে আসতে থাকে। দরবার হলে তখন সবেমাত্র শুরু হয়েছে বার্ষিক সভা। সারাদেশ থেকে আসা বিডিআর জওয়ান, জেসিও, এনসিওরা ছিলেন দরবার হলে। মঞ্চে ছিলেন তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সেসময় বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিক্ষুব্ধ জওয়ানরা। দরবার হলে গোলাগুলি শুরু হলে, ব্যারাক থেকে অন্য সদস্যরাও অংশ নেয় বিদ্রোহে। তারা দখল নেয় অস্ত্রাগারের। মুহুর্তেই রক্তের স্রোত বয়ে যায় পিলখানায়। গোলা-বারুদ আর গ্রেনেডের বিস্ফোরণে পিলখানা পরিণত হয় ধ্বংসস্তুপে। সদর দপ্তরে বিদ্রোহের খবরে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে সারাদেশে বিডিআর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরাও। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সাভার ও ঢাকা সেনানিবাস থেকে সাঁজোয়া যান আর ভারী অস্ত্র নিয়ে পিলখানার দিকে যেতে থাকেন সেনাসদস্যরা। অবস্থান নেন ধানমণ্ডি ও নীলক্ষেত মোড়ে। আর্টিলারি গান ও সাঁজোয়া যান বসিয়ে জওয়ানদের নিরস্ত্র করার কৌশল নির্ধারণ করতে থাকেন তারা। বিডিআর জওয়ানরাও পাল্টা অবস্থান নেয়ায় পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে থাকে। সংকট উত্তরণে হস্তক্ষেপ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দফায় দফায় তৎকালীন সেনাপ্রধান মঈন উ আহমেদসহ তিন বাহিনীর প্রধান ও বিডিআরের বিদ্রোহী কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। মধ্যস্ততায় এগিয়ে আসেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনসহ বেশ কয়েকজন সাংসদ। ২৬ ফেব্র“য়ারি গভীর রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের কাছে আত্মসমর্পন করে বিদ্রোহীরা। ২৭শে ফেব্র“য়ারি বিকেলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পিলখানার নিয়ন্ত্রণ নেন। অবসান হয় ৩৬ ঘন্টার বিদ্রোহের। জাতীয় রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, ধর্ম, লাইফস্টাইল, বিনোদন, শিক্ষাসহ দেশ বিদেশের সর্বশেষ খবর জানতে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন ইটিভি নিউজ চ্যানেল।