সিলেট সিটি কর্পোরেশন জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ ।সিলেটে মুখোমুখি বিএনপি-জামায়াত

সিসিকে জামায়াতের প্রতিশোধ না শক্তি|| জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে এদিকে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে লন্ডন থেকে টেলিফোনে জামায়াত শীর্ষ নেতাদের অনুরোধ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান। কিন্তু জামায়াত তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। তারেক রহমানের পর জোটের শরিক দলের অন্য নেতাদের অনুরোধও রক্ষা করেনি তারা। সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের এই টানাপড়েন শুরু গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে। আবার রাজশাহী ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদ নিয়ে সমঝোতা হলেও জামায়াত ওই দুই সিটিতে কমিশনার পদে জোটের বাইরে নিজেদের দলীয় প্রার্থী দিয়েছে। এ নিয়েও জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। আবার সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে রাজি নয় বিএনপিও। বিএনপির একাধিক নেতা এবং জোটের কয়েকজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। সব কিছু মিলিয়ে ২০ দলীয় জোটের সম্পর্কে চিড় ধরার আশঙ্কা করছেন নেতারা। জোট নেতাদের বক্তব্য হচ্ছে, গত বুধবারের বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, তারেক রহমান জামায়াত নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন সিলেটে তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে। জামায়াত সে কথা রাখেনি। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে। আলোচনার একপর্যায়ে জোট নেতা মোস্তফা জামাল হায়দার ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, অতীতেও জামায়াত কোনো প্রার্থী পায়নি, এবারও পাবে না। জোটের আরেক শীর্ষ নেতা আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, ‘আমরা জোটের একক প্রার্থী দেখতে চাই।’ জোটের অন্য নেতারাও জামায়াতকে একই অনুরোধ জানান। কিন্তু জামায়াতের প্রতিনিধি আব্দুল হালিমের সাফ জবাব, ‘সাংগঠনিক অবস্থান ধরে রাখতে তাদের ছাড় দেওয়ার অবকাশ নেই; তারা ভোটে থাকবেন।’ ওই দিনই আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান ও মির্জা ফখরুল বলেন, প্রার্থী নিয়ে জামায়াতের সঙ্গে টানাপড়েনের প্রশ্নই আসে না। বরং তিন সিটিতে একক প্রার্থী থাকবে। কিন্তু ওই দিন রাতেই জামায়াতের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়, সিলেটে জামায়াতের প্রার্থী রয়েছেন। এতে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই।