প্রয়োজনীয় যেকোনো অস্ত্র তৈরি করবে ইরান ! মার্কিন সেনারাও হামলার শিকার হবে: তুরস্কের হুঁশিয়ারি !

# প্রয়োজনীয় যেকোনো অস্ত্র তৈরি করবে ইরান: ড. রুহানি........... ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি বলেছেন, প্রতিরক্ষা শিল্পকে এতটাই শক্তিশালী করতে হবে যাতে কোনো শত্রু হুমকি দেয়ার সাহস পর্যন্ত না পায়। তিনি আজ (রোববার) তেহরানে প্রতিরক্ষা জাদুঘরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। প্রেসিডেন্ট বলেন, "আমাদেরকে অবশ্যই শক্তিশালী ও ক্ষমতার অধিকারী হতে হবে। কারণ পবিত্র কুরআন আমাদেরকে এতটাই শক্তিশালী হতে বলেছে যে, শত্রুরা যাতে তা উপলব্ধি করার পর সাহস হারিয়ে ফেলে।" তিনি বলেন, শত্রুদেরকে তাদের সাফল্যের বিষয়ে হতাশ করে দিতে হবে অথবা তাদেরকে এই বার্তা দিতে হবে যে, হামলা চালালে এর জন্য কঠিন মূল্য দিতে হবে। ড. রুহানি বলেন, ইরানের সামরিক শক্তি প্রতিরক্ষামূলক। কোনো হুমকির মুখে ইরান এ বিষয়ে কোনো আলোচনা করবে না। তিনি বলেন, আমাদের শক্তি অর্জনের উদ্দেশ্য হচ্ছে শান্তি। জনগণকে রক্ষায় যে কোনো হুমকি মোকাবেলার জন্য আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে। ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, "আমরা যে কোনো সম্ভাব্য প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু জাতীয় প্রতিরক্ষা সক্ষমতার বিষয়ে কারো সঙ্গে কোনো আলোচনার প্রয়োজন আমরা মনে করি না। ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে জোরালো উত্তর দেয়া হবে। আমাদের উত্তর পরিষ্কার। আমরা আইন, নীতিমালা ও সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় যেকোনো অস্ত্র অর্জন করব। তবে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি গণবিধ্বংসী অস্ত্রের বিরোধী এবং তার ফতোয়া অনুযায়ী ইরান কোনো গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি করবে না বলে তিনি ঘোষণা করেন। ২০১৮-০২-০৪ # মার্কিন সেনারাও হামলার শিকার হবে: তুরস্কের হুঁশিয়ারি............ সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় আফরিন এলাকায় চলমান সামরিক অভিযানে মার্কিন সেনারা যদি বাধা দেয় কিংবা কুর্দি গেরিলাদের হয়ে লড়াই করতে আসে তাহলে তারাও হামলার শিকার হবে। তুরস্কের উপ প্রধানমন্ত্রী বাকির বোজদাগ রোববার সিএনএন টেলিভিশনের তুর্ক বিভাগকে একথা বলেছেন। তিনি বলেন, “মার্কিন সেনারা যদি কুর্দি পিপল’স প্রোটেকশন ইউনিট বা ওয়াইপিজি-কে সাহায্য করে কিংবা মার্কিন সেনারা কুর্দি গেরিলাদের পোষাক পরে যুদ্ধে নামে তাহলে তারাও হামলা থেকে রেহাই পাবে না। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আমরা মার্কিন সেনাদেরকে সন্ত্রাসী বলেই বিবেচনা করব। বাকির বোজদাগ বলেন, “তুরস্কের সংবেদনশীলতা সম্পর্কে মার্কিনিরা সচেতন বলে আমরা মনে করি। তারপরও যদি তারা কুর্দি পোষাক পরে তুর্কি সেনাদের ওপর হামলা চালায় তাহলে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তাদেরকে আলাদা করার সুযোগ থাকবে না।” বাকির বোজদাগ বলেন, মার্কিন সেনাদের সঙ্গে তুরস্ক কোথাও সংঘাত চায় না। শনিবার সিরিয়ার চলমান অভিযানের সময় তুরস্কের সাত সেনা নিহত হওয়ার পর তিনি এসব কথা বললেন। তুর্কি গণমাধ্যম বলছে, একটি ট্যাংকে কুর্দি গেরিলাদের হামলায় এসব সেনা নিহত হয়েছে এবং ওই ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র দিয়েছে আমেরিকা। # গ্যাসক্ষেত্রের মালিকানা নিয়ে তেলআবিব-বৈরুত টানাপড়েন তুঙ্গে... ভূমধ্যসাগরে লেবাননের একটি গ্যাসক্ষেত্রের মালিকানা নিয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে বৈরুতের টানাপড়েন তুঙ্গে উঠেছে। লেবাননের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াকুব সাররাফ তেল আবিবকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তার দেশের জনগণ মাতৃভূমির প্রতি ইঞ্চি জায়গা রক্ষা করতে প্রস্তুত রয়েছে। গত বছর ভূমধ্যসাগরে লেবানন তার ১০টি গ্যাসব্লকের দু’টির উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করে। ডিসেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী সা’দ হারিরি’র সরকার তিনটি আন্তর্জাতিক কোম্পানির সমন্বয়ে গঠিত একটি কনসোর্টিয়ামকে ব্লক-৪ ও ব্লক-৯ উন্নয়নের দায়িত্ব দেয়। লেবাননের এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে ইহুদিবাদী ইসরাইল উসকানিমূলক বক্তব্য দিলে তেলআবিব ও বৈরুতের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। লেবাননের ব্লক-৯ গ্যাসক্ষেত্রের ওপর মালিকানা দাবি করে ইহুদিবাদী যুদ্ধমন্ত্রী এভিগদোর লিবারম্যান বলেন, ব্লক-৯ ইসরাইলি ভূখণ্ডের অংশ এবং সেটির ব্যাপারে লেবাননের টেন্ডার ইস্যু করা ‘উসকানিমূলক’ পদক্ষেপ। লিবারম্যানের এ দাবির প্রতিক্রিয়ায় লেবাননের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াকুব সাররাফ বলেছেন, নিজের জল, স্থল ও আকাশসীমার ওপর পূর্ণ কর্তৃত্ব রয়েছে লেবানন কর্তৃপক্ষের। তিনি রোববার লেবানন-ইসরাইল সীমান্তবর্তী এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এর আগে হিজবুল্লাহর উপ মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম গত শুক্রবার বলেছিলেন, লেবানন এখন আর কারো জন্য ‘সহজ গ্রাস’ নয় যে, যখন খুশি গিলে ফেলবেন। তিনি বলেন, লিবারম্যানের বক্তব্যের জবাব শক্তির ভাষায় দেয়া হবে; কারণ, এই ভাষা উপলব্ধি করা ইসরাইলের জন্য সহজ। এ ছাড়া, লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হারিরি ইসরাইলি যুদ্ধমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘প্রত্যাখ্যাত’ এবং প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন একে ‘হুমকিমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন। ২০১৮-০২-০৫